বিশেষ প্রতিবেদক । ফরিদপুরের ধুলদীতে জাহিদ ইন্ডাস্ট্রিজ নামে একটি খাদ্য পণ্য তৈরির কারখানায় একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটলেও এখনো চুরির সাথে জড়িতদের সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় চরম হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই ইন্ডাস্ট্রির মালিক এস এম জাহিদ হোসেন। এস এম জাহিদ ফরিদপুর থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বুদ্ধিযুদ্ধ পত্রিকার সম্পাদক এবং ফরিদপুর প্রেসক্লাবের একজন সদস্য। তিন দফায় প্রায় সাত লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে তার প্রতিষ্ঠানে। প্রথম দফা চুরির পরে থানায় অভিযোগ দায়েরের পরে চুরির ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় হতাশ হয়ে তিনি পরবর্তীতে আর থানায় লিখিত অভিযোগ করার আগ্রহটুকুও হারিয়ে ফেলেন। তবে মৌখিকভাবে প্রতিটি ঘটনারই বর্ণনা পুলিশকে জানান তিনি।
জানা গেছে, প্রথম দফায় গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর জাহিদ ইন্ডাস্ট্রিজের দেয়াল টপকে চুরি করা হয়। এদিনে তার প্রতিষ্ঠানের পাঁচ হর্সের চারটি মোটর, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণের একটি ডিভিআর ও একটি সাবমার্সেবল পাম্প সহ প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়। এ ঘটনায় তিনি কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর কোতয়ালী থানার এসআই অরুপ মামলার তদন্ত করেন। তবে তদন্ত আর এগোয়নি। এই মামলার তদন্ত চলাকালেই ১১ জানুয়ারি আবারো চুরি হয় প্রতিষ্ঠানটিতে। এবার বাইরের সাবমার্সেবল পাম্প, মুড়ির মেশিনের মোটর ও টিউবঅয়েল সহ প্রায় ৯০ হাজার টাকার মালামাল চুরি হয়। সর্বশেষ গত ৭ মে দিবাগত রাতে আবারো চুরি হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে। এবার শাটারের তালা ভেঙ্গে ১২টি ফ্যান, ভিতরের পানির মোটর, মেশিনের মোটর, ৪টি স্ট্যাবলাইজার, ফ্রাই বার্নার ও অন্যান্য মালামাল সহ প্রায় দেড় লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়। এসএম জাহিদ হোসেন বলেন, একের পর চুরির ঘটনা ঘটলেও চোরদের সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। একারণে প্রথমবার অভিযোগ দাখিলের পরে পরবর্তীতে আর থানায় লিখিত অভিযোগ করার আগ্রহও হারিয়ে ফেলেছি। পুলিশকে ফোন করলে তারা জানান নানা কাজে ব্যস্ততায় এদিকে সময় দিতে পারছেন না। অথচ একারণে তার প্রতিষ্ঠানটিই বন্ধ হতে চলেছে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই অরুপ বিশ্বাস বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরে তিনি ঘটনাস্থলে যেয়ে তদন্ত চালান। কিছু ক্লু পাওয়া গেছে। সেগুলো ধরে কয়েকটি অভিযানও চালানো হয়েছে। তবে কেউ গ্রেফতার হয়নি। তদন্ত কাজ চলছে। আশাকরি শিঘ্রই চোরদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।