নগরকান্দা ভাইস চেয়ারম্যান চুন্নু শেখের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

বিশেষ প্রতিবেদক।
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ চুন্নু শেখের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে সরকারী ঘর দেবার কথা বলে, গভীর নলকূপ, বিভিন্ন ভাতার কার্ড করে দেবার নামে টাকা নেওয়া, ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা রয়েছে। যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। এ নিয়ে ভূক্তভোগীরা বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দিলে তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ফলে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তারা।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, নগরকান্দা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও বর্তমানে প্রার্থী মোঃ চুন্নু শেখ নানাজনের কাছ থেকে গভীর নলকূপ দেবার কথা বলে মোটা অংকের টাকা নেন। কিন্তু তাদের কাউকেও নলকূপ দেননি। বয়স্ক ভাতা, স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা, শিশু কার্ডের কথা বলে বেশকিছু মানুষের কাছ থেকে টাকা নিলেও তাদের ভাতার কার্ড করে দেওয়া হয়নি। দীর্ঘদিন পেরিয়ে যাবার পর টাকা দিয়েও কাজ না করায় চুন্নু শেখের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি টালবাহানা শুরু করেন। পরবর্তীতে চুন্নু শেখের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তাদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় ভুক্তভোগীরা তার বিরুদ্ধে কোন কথা বলতে সাহস পাননা। চুন্নু শেখের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে নগরকান্দা থানায় একটি মামলা হয়। মামলায় চুন্নু শেখ তিন নম্বর আসামী। বর্তমানে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিনে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, চুন্নু শেখ তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন কায়দায় টাকা নিয়ে তাদের কোন কাজ করে দেননি। টাকা ফেরত চাইলে ভয়ভীতি দেখানো হয়। এ নিয়ে একাধিকবার আমাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। কাইচাইল ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জিন্নাহ সরদার বলেন, আমি নিজে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা এনে চুন্নুকে দিয়েছিলাম। কিন্তু সে কাউকে গভীর নলকূপ দেননি। পরে আমি নিজের পকেট থেকে ভুক্তভোগীদের টাকা ফের দিয়েছি। সে ভালো ভালো কথা বলে টাকা নেয় কিন্তু কারো কোন কাজ করে দেয়না। তার অপকর্মের যেন শেষ নেই। তার কাছ থেকে এলাকাবাসী নিস্তার চায়।
এ বিষয়ে মোঃ চুন্নু শেখের সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন না ধরায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

%d