ফরিদপুরে নারী উদ্যোক্তাকে হয়রানীর অভিযোগ

ষ্টাফ রিপোর্টার।
সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে চাঁদা দাবি, হয়রানিমুলক মামলা ও অপপ্রচার চালিয়ে ফরিদপুরের এক নারী উদ্যোক্তাকে সামাজিকভাবে হেয় করাসহ প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াস চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে নারী উদ্যোক্তা সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইয়াং লাইফ অ্যাসথেটিক অ্যান্ড লেজার সেন্টারের স্বত্তাধিকারী শান্তা ইসলাম। সোমবার দুপুরে শহরের অনাথের মোড়ের সাঁঝের মায়া ভবনে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব শাখায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় নারী উদ্যোক্তা শান্তা ইসলাম বলেন, ব্যাংক থেকে মোটা অংকের টাকা ঋণ নিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছেন। ফরিদপুর ছাড়াও ঢাকা ও যশোরে তিনি শাখা স্থাপন করেছেন। কিন্তু তার সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে প্রতিষ্ঠানটি এবং তার নিজের সুনাম ক্ষুন্ন করার নানা ষড়যন্ত্র করছে।
শান্তা বলেন, সম্প্রতি তিনি কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিলে রুনা লায়লা নামে একটি মেয়ে চাকুরীর জন্য আবেদন করে। গত ২৭ জানুয়ারি রুনাকে চাকুরী দেওয়া হয়। কিন্তু মাত্র অল্পক’দিনের মধ্যে তার চালচলনে সন্দেহ হওয়ায় গত ১২ ফেব্রয়ারি আমি রুনার বাবাকে ফোন করি। কিন্তু তাকে না পেয়ে তার স্বামী রাসেলকে ফোন করি। এরপর রাসেল এসে আমাকে নানাভাবে হুমকি দেয় এবং চাঁদা দাবি করে। আমি প্রতিবাদ করলে একপর্যায়ে আক্রমণ আমাকে করে। এসময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে রুনার স্বামীর আঘাতে রুনার মাথা কেটে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে রুনার স্বামী রাসেলকে ধরে নিয়ে যায়।
এদিকে, ঘটনার পরে রুনা লায়লার বাবা বাদি হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে থানায় একটি হয়রানিমুলক মামলা করেন। যে মামলায় আমাকে ও আমার পরিবারের লোকদের সাথে রুনা লায়লার স্বামী রাসেলকেও আসামি করা হয়। কিন্তু এরপর রাসেল বাদি হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে আরো একটি মামলা দায়ের করেন।
শান্তা বলেন, বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৬৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি দাড় করিয়েছেন। তিনজন ব্যবসায়ীক পার্টনার রয়েছে এই ইয়াং লাইফ অ্যাসথেটিক এন্ড লেজার সেন্টারে। চারজন ডাক্তার রয়েছে তাদের প্রতিষ্ঠানে। আরো পাঁচজন নারী কর্মী কাজ করেন। এসব ঘটনায় তার প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হয়।
তিনি বলেন, হয়রানিমুলক মামলা দায়েরের পর একটি মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ১২ বছরের মেয়েকে জড়িয়েও কুৎসামূলক রটনা চালাচ্ছে। ছোট্ট মেয়েটি লজ্জায় স্কুলেও যেতে পারছে না। বর্তমানে তার পড়ালেখা বন্ধ হবার উপক্রম। চক্রটি সংঘবদ্ধভাবে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি এর প্রতিকারের জন্য ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও দোষীদের বিচার দাবি করেন। এব্যাপারে তিনি প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

%d