ফরিদপুরে ৩ মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় হিন্দু যুবক আটক

বিশেষ প্রতিবেদক।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় একই রাতে তিনটি মন্দিরের ১০টি প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় এক হিন্দু যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো: শাহজাহান। গ্রেফতার হওয়া ওই যুবকের নাম সোনাই মালো (৪৫)। তিনি আলফাডাঙ্গা পৌর সদরের মৃত নিতাই মালোর ছেলে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মোঃ শাহাজাহন জানান, বিজয় দিবসের রাতে আলফাডাঙ্গা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের এক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত কুশুমদী মহল্লার কেন্দ্রীয় হরি মন্দির, শ্রী বিষ্ণু পাগলের মন্দির এবং ৭নং ওয়ার্ডে আলফাডাঙ্গা মহল্লার শ্রী শ্রী দামুদর আখড়া মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুর করা হয়। এর মধ্যে হরি মন্দিরের দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, মনসা ও মহাদেব প্রতিমা এবং বিষ্ণু পাগলের মন্দিরের মহাদেব ও মনসা প্রতিমা ও দামুদর আখড়া মন্দিরের মহাদেব, শিবলিঙ্গ ও নারায়ণ এর প্রতিমাসহ মোট ১০টি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। এ ব্যাপারে পরের দিন ১৭ ডিসেম্বর আলফাডাঙ্গা থানায় একটি মামলা করা হয়। পরে বিষ্ণু পাগলের মন্দিরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ওই রাতে ২টা ১৫ মিনিটের দিকে এক ব্যক্তি মন্দিরে প্রবেশ করে এবং রাত ২টা ৩৬ মিনিটের দিকে বের হয়ে আসে। পরে স্থানীয়দের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে তার নাম পরিচয় বেরিয়ে আসে। এরপর তাদের দেওয়া তথ্য মতে সোনাই মালোকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, গ্রেফতারের পর আসামী সনাতন ওরফে সোনাই মালো এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে সোনাই মালো বলেন, সাপ তাকে দুই বছর যাবত স্বপ্নে তাড়া করে বেড়াাচ্ছে। তাই তিনি বিভিন্ন পূজামন্ডপে যেসব মূর্তি ও প্রতিমার সাথে শিব বা মহাদেবের মূর্তি আছে সেগুলোর মুখন্ডল হাত দিয়ে ভেঙে ফেলেন। কারণ শিব বা মহাদেবের গলায় সাপ জড়ানো থাকে। পাশাপাশি মূর্তির সাথে মাটির তৈরি যে সাপ থাকে সেগুলোও ভেঙে ফেলেন। জিজ্ঞাসাবাদে সোনাই মালো আরো জানান, বিষ্ণু পাগলের মন্দিরে রক্ষিত দুর্গা, সরস্বতি, লক্ষীর যে প্রতিমা আছে সেগুলো আসল না এবং তারাও সাপের রূপ ধারণ করে তাকে ভয় দেখায়। এ কারণে ওই মূর্তিগুলোর মুখ তিনি ভেঙে দেন।

%d