৮ লাখ টাকায় পুলিশে চাকুরী দিতো প্রতারক চক্র !

সোহাগ জামান।
৮লাখ টাকায় মিলবে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরী। শুধুমাত্র চাকুরীর আবেদন করেই টাকা দিলেই পাওয়া যাবে এই চাকুরী। আর পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে এমন অভিনব কায়দায় প্রতারনাকালে প্রতারক চক্রের ৩ সক্রিয় সদস্যকে গেফতার করেছে ফরিদপুর গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকস দল। এসময় প্রতারক চক্রের নিকট হতে বিভিন্ন ব্যাংকের স্বাক্ষারিত ১৪টি চেক, ৮টি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও ৩জন কনস্টেবল প্রার্থীর আবেদন ফরম উদ্ধার করা হয়।
শনিবার দুপুর ২টায় এক প্রেস বিফ্রিং এর মাধ্যমে এ তথ্য তুলে ধরেন পুলিশ সুপার মো: মোর্শেদ আলম।
পুলিশ সুপার মোর্শেদ আলম বলেন, একটি প্রতারক চক্র পুলিশের বড় অফিসার পরিচয় দিয়ে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রটিং কনস্টেবল পদে চাকুরী দেবার কথা বলে কিছু প্রার্থীর নিকট হতে (প্রতি প্রার্থীর জন্য ৮লক্ষ টাকা) করে চেক গ্রহন করছেন। আর এমন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে নগরকান্দা উপজেলার সুতারকান্দা গ্রামের মিরান মোল্যা (৫৫), একই উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামের আক্কাছ মোল্যা (৪৫) এবং সালথা উপজেলার পুরুরা গ্রামের বিল্লাল মাতুব্বর (৬২) নামের ৩ প্রতারককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় তাদের নিকট হতে বিভিন্ন ব্যাংকের স্বাক্ষরিত ১৪টি চেক, ৮টি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও ৩ জন কনস্টেবল প্রার্থীর আবেদন ফরম উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেল থেকে জানানো হয়, সাধনা বিশ্বাস নামে এক মহিলা তার মেয়ে দীপা রাজবংশী কনস্টেবল পদে চাকুরি প্রত্যাশী। প্রতারকচক্র পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে আট লক্ষ টাকা চুক্তি সম্পাদন করে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে স্ট্যাম্প ও চেক নিয়েছে তার কাছে থেকে। কিন্তু তার মেয়ের পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি হয়নি। বিষয়টি পুলিশ জানার পর বাদীকে থানায় অভিযোগ দায়েরের জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শৈলেন চাকমা (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হান্নান মিয়াসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

%d