যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার-৬

বিশেষ প্রতিবেদক।
ফরিদপুরে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা হোসেন প্রামাণিক নামের এক ব্যক্তিকে গাছের সাথে বেঁধে অমানুষিক ভাবে পিটিয়ে নির্যাতনের মামলায় ৬ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফরিদপুরের কোর্ট চত্বরে উকিল বারের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মাইনদ্দিন প্রামানিক (৫৫), আব্দুল লতিফ প্রামানিক (৪৫), আজিজুল প্রামানিক (২৫), মোরশেদ প্রামানিক (২২), আছমত মল্লিক (৬০), মানিক মল্লিক (৬৫) ও খোয়াজ শেখ (৫৫)। এদের প্রথম পাঁচজনের বাড়ি ফরিদপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর পূর্ব মল্লিকপাড়া এবং শেষের জনের বাড়ি চাঁদপুর মৈজদ্দিন মাতুব্বর পাড়ায়।
কোতোয়ালি থানার এসআই সুজন বিশ্বাস বলেন, আসামিদের গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হোসেন প্রামাণিক বাদি হয়ে গত ২এপ্রিল কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, পিতার রেখে যাওয়া ৪ একর ৩৬ শতাংশ ওয়াকফ সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ১ এপ্রিল হোসেন প্রামাণিকের উপর হামলা করে তারই আপন ভাই-ভাতিজারা। তাকে গাছের সাথে বেঁধে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েও প্লাস দিয়ে আঙুলে জখম করা হয়। খবর শুনে তার স্ত্রী ও মেয়ে তাকে বাঁচাতে এলে তাদেরকেও মারধর করা হয়।
পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ পৌছে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। হামলায় হোসেন প্রামাণিকের স্ত্রীর একটি পা ভেঙ্গে গেছে। এ ঘটনায় হোসেন প্রামাণিক কোতোয়ালি থানায় সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি কাদের প্রামাণিক (৬০) পলাতক রয়েছে।
হোসেন প্রামাণিক জানান, প্রায় এক বছর আগে ভাইয়েরা তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। ওই ঘটনায় একটি মামলা চলমান রয়েছে। এরপর গত ২০ মার্চ ও ২৭মার্চ রাতে পরপর দুবার তার বাড়িতে আগুন দেয়া হয়। তিনি থানায় একটি মামলা করেন। এরপর আবারও তারা তাকে ধরে নিয়ে গাছের সাথে বেঁধে পিটিয়ে আহত করে এবং স্ত্রী কন্যাকেও মারপিট করা হয়।

%d