সরকারী অনুমতি না নিয়ে বিদেশে থাকায় ইউপি সদস্য বরখাস্ত

বিশেষ প্রতিবেদক ।
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ কাউছার মাতুব্বর স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না নিয়ে সৌদি আরবে থাকায় তাকে বরখাস্ত করে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পদটি শূন্য ঘোষণ করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে তাকে বরখাস্ত করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।। সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী ।
জানাযায়, আটঘর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া ও খোয়াড় গ্রাম নিয়ে ৫নং ওয়ার্ড গঠিত। ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত আটঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করে সাধারণ সদস্য পদে বিজয়ী হন কাউছার মাতুব্বর। কাউছার মাতুব্বর ২০১৭ সালের আটঘর ইউনিয়নের আলোচিত জিয়া হত্যা মামলার ৪ নং আসামী। জিয়া হত্যা মামলার রায় ঘোষনার খবরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কোন অনুমতি না নিয়েই গত ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর সৌদি আরবে চলে যান কাউছার মাতুব্বর। ফলে ২০২৩ সালের ৮ নভেম্বর আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহীদুল হাসান খান সোহাগ বিষয়টি সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে অবগত করান। পরে একই বছরের ১২ ডিসেম্বর প্রমাণসহ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে কাউছার মাতুব্বরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠি লিখেন সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এরই পরিপেক্ষিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ১৫২ নং প্রজ্ঞাপনে মোঃ কাউছার মাতুব্বরকে সাময়িক বরখাস্ত করে কারণ দর্শানো হয়। কাউছার মাতুব্বর কারণ দর্শানোর জবার না দিলে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪(৪) (ক) (জ) ধারার অপরাধ করায় তার স্বীয় পদ হতে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারী করে।
আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুল হাসান খান সোহাগ বলেন, প্রথম থেকেই কাউছার মাতুব্বর পরিষদের কাজে সময় দেন না। ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর সৌদি আরব কাজের জন্য গিয়েছেন। তার অনুপস্থিতিতে ৫নং ওয়ার্ডের কাজ করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ব্যতীত দেশের বাইরে অবস্থান করায় মন্ত্রণালয় থেকে তাকে কারণ দর্শানো হয়। কাউছার মাতুব্বর কারণ দর্শানোর জবাব না দিলেতাকে চুড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হয়।

%d