দলে দলে বিশ্ব ইজতেমায় আসছেন মুসল্লিরা

কন্ঠ ডেস্ক ঃ

দলে দলে গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় আসছেন মুসল্লিরা। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিনভর বাস, ট্রাক ও পিকআপে করে জামাতবন্দি হয়ে তারা ইজতেমা ময়দানে আসছেন। 

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থেকে ২৪ জনের সাথী নিয়ে বিশ্ব ইজতেমায় এসেছেন কায়সার মিয়া। তিনি বলেন, আমাদের গ্রামের মসজিদ থেকে প্রতি মাসেই তাবলিগ জামাতে যান মসজিদের মুসল্লিরা। প্রতিমাসের মতই আমরা বিশ্ব ইজতেমায় এসেছি।

মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুর থেকে ১৯ জনের সাথী নিয়ে বিশ্ব ইজতেমায় এসেছেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা হায়দার আলী। তিনি বলেন, সড়ক পথে কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই ইজতেমা ময়দানে এসে পৌঁছেছি। এখন নির্দিষ্ট খিত্তায় যাব, সেখানে গিয়ে সাথী ভাইদের নিয়ে অবস্থান করব এবং ইজতেমার অন্যান্য কাজ শুরু করব। 

শেরপুরের নালিতাবাড়ী থেকে বাসযোগে ৫২ জন সাথী নিয়ে ইজতেমা মাঠে বিকেল ৩টায় পৌঁছেছেন শামসুল হক। তিনি বলেন, সকাল ৮টায় নালিতাবাড়ীর কালিনগর থেকে রওনা হয়ে বিকেলে এসেছি ইজতেমায় ময়দানে। আমাদের কিছু সাথী বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় তাদের জন্য অপেক্ষা করছি। একত্রিত হয়েই মযদানে প্রবেশ করবো।

তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের কারণে এবারও বিশ্ব ইজতেমা আলাদাভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাবলিগের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিরোধী পক্ষ মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা ইজতেমা পালন করবেন ২, ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি। চার দিন বিরতির পর সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা ইজতেমা করবেন ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি। সে হিসেবে এখন মাঠে আসছেন মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা।

আয়োজকরা বলছেন, বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দিন দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজ হবে। দুপুর দেড়টার দিকে কাকরাইলের মুরুব্বি মাওলানা জোবায়ের এ জুমার নামাজে ইমামতি করবেন। বৃহত্তম জুমার এই নামাজে অংশ নিতে প্রতি ইজতেমায় তবলিগের মুসল্লি ছাড়াও গাজীপুর ও আশপাশের জেলা থেকে আগের রাতেই ইজতেমা ময়দানে সবাই অবস্থান নিতে শুরু করেন।

বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী আব্দুন নূর জানান, দেশ-বিদেশের লাখো মুসলিম জনতার পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীর। ইতোমধ্যে পুরো ময়দান পূর্ণ হয়ে গেছে। জিকির-আসকারে সময় পার করছেন মুসল্লিরা। তাদের ধর্মীয় কাজে মনোনিবিষ্ট করতে ও ময়দানে উপস্থিত মুসল্লিদের জমিয়ে রাখতে মুরব্বিরা বৃহস্পতিবার বাদ ফজর থেকে প্রাথমিক বয়ান শুরু করেছেন। 

%d