জামাল মিয়ার অভিযোগ- ‘আমাকে জোর করে হারানো হয়েছে’

কামরুজ্জামান সোহেল।
ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী, নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া অভিযোগ করে বলেছেন, গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আমাকে জোরপূর্বক হারানো হয়েছে। আমি জয়ী হলেও পরে আমাকে ১৯০০ ভোটে পরাজিত দেখানো হয়। মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া এসব কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে জামাল হোসেন মিয়া বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় মোট ১১৫টি কেন্দ্রের মধ্যে গট্রি, যদুনন্দি, রামনগর, কাইচাইল ইউনিয়নের ভোট জোরপূর্বক টেবিলের উপর প্রকাশ্যে রেখে নৌকা প্রতিকে সিল মারা হয়েছে। এছাড়া বাবুর কাইচাইল, কাইচাইল, বালিয়াগট্রি, জয়ঝাপ, বড় খারদিয়া, সুতারকান্দা, পোড়াদিয়া, কৃষ্ণারডাঙ্গী কেন্দ্রসহ কয়েকটি কেন্দ্রে প্রকাশ্যে ভোট কেটে নেয় নৌকা প্রতিকের সন্ত্রাসীরা। জামাল হোসেন মিয়া বলেন, অধিকাংশ প্রিজাইডিং অফিসার ২০০-৩০০ ভোট কেটে নৌকায় সিল মেরে ব্যালট আগেই রেখে দেয় এবং আমার ঈগল প্রতিকের ভোটের বান্ডিলের উপর নৌকা লিখে বান্ডিল করে। আমার চোখের সামনে ভোট কেটে নিলে এবং জাল ভোট দিতে থাকলে আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিষ্ট্রেটকে বিষয়টি জানালে তিনি কোন প্রদক্ষেপ নেননি বরং আমাকে বলেন, ভিতরে কি হলো সেটা আমার দেখার বিষয় না, প্রিজাইডিং অফিসারকে কমপ্লিন করেন। আমি তাকে জানাই প্রিজাইডিং অফিসার নিজেই ভোট কাটার সাথে জড়িত। তারপরও সে কোন প্রদক্ষেপ নেননি। আমি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বারবার ভোট বন্ধের জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। আমার পুলিং এজেন্টদের মারধোর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ২০টি কেন্দ্র থেকে আমার পুলিং এজেন্ট বের করে দেয়। তিনি বলেন, এ প্রহসনের নির্বাচন ফরিদপুর-২ আসনের জনগন প্রত্যাখ্যান করেছে। ফলে যেসব কেন্দ্রে ভোট জালিয়াতি ও প্রকাশ্যে ভোট কেটে বাক্সে ফেলা হয়েছে সেইসব কেন্দ্রের নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন দেবার দাবী জানাই।
জামাল হোসেন মিয়া আরো বলেন, নির্বাচনের পরের দিন থেকে আমার সমর্থকদের ২শতাধিক ঘর বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। একই সাথে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে তাদের উপর নির্মম নির্যাতন চালানো হচ্ছে। হামলার ভয়ে আমার কয়েকশ সমর্থক এখন বাড়ী ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে আমার কর্মী সমর্থকদের নিরাপত্তা দাবী করছি।
সংবাদ সম্মেলনে সালথা ও নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

%d