সহসাই খুলছে না ফরিদপুর জেলা বিএনপি অফিসের তালা

কামরুজ্জামান সোহেল।
মাস তিনেক আগেও জমজমাট ছিল শহরের কাঠপট্রির মনা প্লাজায় অবস্থিত ফরিদপুর জেলা বিএনপির অফিস। সেই সময় দলের নেতা-কর্মীদের আনোগোনা এবং সভা-সমাবেশে মুখরিত ছিল অফিসটি। রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের পর তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে অফিসটি। দলের বেশীর ভাগ নেতার নামে মামলা থাকায় তারা এখন পলাতক, কেউবা কারাগারে। দলের কোন কর্মসূচি না থাকায় কর্মীরাও এখন আর অফিসে আসেন না।
ফরিদপুর জেলা বিএনপি সূত্রে জানাগেছে, দলের গুরুত্বপূর্ন নেতাদের নামে মামলার খড়গ ঝুলছে। ফলে অনেকেই পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন। মূলদলের বাইরে সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের বেশীর ভাগ নেতারা পলাতক রয়েছেন। ফলে বিএনপির অফিসটি তালাবদ্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একে এম কিবরিয়া স্বপন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। আর দলের আহবায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছার নামে একাধিক মামলা থাকায় প্রকাশ্যে আসছেন না তিনি।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপি অফিসের সামনে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়। সেই ঘটনার রেশ ধরে ফরিদপুর জেলা বিএনপির একাধিক নেতার নামে মামলা হয়। ফলে জেলা বিএনপির নেতারা আর্ত্বগোপনে চলে যান। সংসদ নির্বাচনের আগে হরতাল- অবরোধ কর্মসূচিতে কয়েক নেতাকে মাঝে মধ্যে রাজপথে দেখা গেলেও তা ছিল সাময়িক সময়ের জন্য। সাম্প্রতিক সময়ে দলের বড় কোন আন্দোলন হয়নি ফরিদপুরে। দলীয় নেতৃত্বহীনতা এবং প্রকাশ্যে গ্রুপিং থাকার কারনে বর্তমানে কর্মীরা দিশাহারা অবস্থায় রয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তালাবদ্ধ থাকা বিএনপির অফিস কবে খুলবে এমন কথা জানেন না দলের সিনিয়র নেতারাও। জেলা বিএনপির সিনিয়র এক নেতা জানান, দলের বেশীর ভাগ নেতারা এখন পলাতক অবস্থায় রয়েছে। অনেকেই কারাগারে থাকায় কারো সাথে তেমন যোগাযোগ নেই। তিনি বলেন, পুলিশেল ঝামেলা এড়াতেই বর্তমানে অফিসে কেউ যাচ্ছেন না। কবে অফিসটি খোলা হবে তা তাদের জানা নেই।

%d