মধুখালীতে দুই সহোদরকে হত্যা ঃ ইউপি চেয়ারম্যান তপন সাময়িক বরখাস্ত

বিশেষ প্রতিবেদক।
ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামে দুইসহোদর নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এদিকে, এ ঘটনার ৩৩ দিন পার হলেও এখনো অভিযুক্ত ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপন ও ইউপি সদস্য অজিত বিশ্বাসকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত এখন পর্যন্ত ১৮জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই দুই জনপ্রতিনিধি মন্দিরে আগুন লাগানোর জন্য শ্রমিকদের দায়ী করে স্বীকারোক্তি আদায় করতে কিল-ঘুষি ও চড়থাপ্পড় মারেন।
ডুমাইন ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপন এর আগে ২০২৩ সালে দুই দফা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) ওপর হামলার মামলা ও টিসিবির কার্ড আত্মসাতের ঘটনায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে বরখাস্ত হন। তবে দুবারই তিনি উচ্চ আদালতের মাধ্যমে পদ ফিরে পান। এসব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছিল। এসব মামলার কোনোটিরই রহস্যজনক কারনে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয়নি পুলিশ।
মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামে গত ১৮ এপ্রিল দুই নির্মাণ শ্রমিক হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪(৪)(খ)(ঘ) ধারা অনুযায়ী ফরিদপুর জেলা প্রশাসক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে।
এতে আরও বলা হয়, ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে উল্লিখিত অভিযোগে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। সেহেতু ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান যে অপরাধ করেছে তা ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থি। একারণে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪(৪) (খ) (ঘ) ধারা অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। এ আদেশ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে জারি করা হলো এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

%d