স্পেন দুতাবাসের কারনে এক প্রবাসীর জীবন হুমকির মুখে

বিশেষ প্রতিবেদক।
স্পেনে থাকা বাংলাদেশের এক প্রবাসী সে দেশের বাংলাদেশী দুতাবাসের এক কর্মকর্তাকে আর্থিক সুবিধা না দেওয়ায় পাসপোর্ট নবায়ন করতে পারছেন না বলে অবিযোগ করেছেন। তার পাসপোর্টটি দীর্ঘদিন ধরে আটকে রাখার ফলে সে বাংলাদেশেও আসতে পারছে না। ফলে স্পেনে সে মানবেতরভাবে দিন যাপন করছে।
শনিবার স্পেন থেকে ভার্চুয়ালীযুক্ত হয়ে ফরিদপুরের সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন প্রকাশ সানা নামের ওই ব্যক্তি। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়সহ সংশ্লিষ্ট মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, এই বিষয়টি দ্রুত সমাধান না হলে তার আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন পথ থাকবেনা।
প্রকাশ সানা বলেন, আমি গত ২০২৩ সালের ৫সেপ্টেম্বর স্পেন অ্যাম্বাসিতে আমার পাসপোর্ট রিনিউ করতে গেলে তারা আমার কাছ থেকে পাসপোর্টের ফ্রি বাবদ ১০০ ইউরো নেয় এবং আমাকে রশিদ প্রদান করে। কিন্তু তারপর তারা আমার ফিঙ্গার নেয়নি। আমার কাছে স্পেন মুদ্রায় ১৩ হাজার ৫০০ ইউরো দাবি করছে। তারা বলছে, আমি যদি তাদের শর্ত পূরণ করি তাহলে তারা আমার পাসপোর্টের ফিঙ্গার নেবে। আমি তখন তাদের প্রশ্ন করি কেন আপনাদের আমি টাকা দেবো, তখন তারা বলে কোন কথা নাই আপনাকে যে শর্ত দেওয়া হয়েছে তা পূরণ করুন তারপর পাসপোর্ট বই ফেরত পাবেন। এদিকে আমার স্পেনের রেসিডেন্ট কার্ডের মেয়াদও শেষ। পাসপোর্ট নেই, পাসপোর্ট ছাড়া কার্ড উঠানো যায় না। আমি যে কতটা অমানবিকতার জীবন যাপন করছি তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। এই পরিস্থিতিতে আমি যদি আত্মহত্যা করি তার সম্পূর্ণ দায় বাংলাদেশ অ্যম্বাসি স্পেনের উপর। এর সাথে জড়িত রয়েছেন সাব রহমান নামের এক স্পেন প্রবাসী। সে অ্যাম্বাসির লোকদের যোগসাজসে এইসব কাজ করছেন।
তিনি বলেন, স্পেন প্রবাসী সাব রহমান আমার কাছে টাকা দাবি করেছেন, আমি তার টাকা দিয়েছি। আমি তার কাছে এখন উল্টো টাকা পাই। তিনি আমাকে ফাঁসানোর জন্য বিভিন্ন চেষ্টা করছেন। আমি করোনাকালীন সময়ে সুদে তার কাছ থেকে ১৫০০০ ইউরো নিই। সময় মতো সেই টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করেছি ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে। যদিও এখন উনি আরো ১৫০০০ ইউরো দাবি করছেন।
২০০৭ সালে বাংলাদেশ থেকে সাগরপথ পাড়ি দিয়ে স্পেনে যান ফরিদপুর জেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের মৃত হাদান কুমার সাহার ছেলে প্রকাশ সানা। তিনবছর ক্যাম্পে কাটিয়ে পাঁচবছর অবস্থানের পর তিনি স্পেনের রেসিডেন্স কার্ড লাভ করেন। এখন সেই কার্ডেরও মেয়াদও শেষ। নিজের পাসপোর্টটি জমা রয়েছে স্পেনের বাংলাদেশ অ্যাম্বাসিতে। এমন অবস্থায় চরম অমানবিক জীবন যাপন করছেন বলে তিনি সাংবাদিকদের কাছে উল্লেখ করেন।

%d