অসহায় প্রতিবন্ধীর আর্তি-‘আমাদের বাঁচান’

প্রভাত কুমার সাহা, সদরপুর।। ভরন পোষন ও দেখাশোনার আশ^াস দিয়ে জমি লিখে নেবার পর প্রতিবন্ধী ভাই বোনকে আর দেখভাল করছেনা নিতাই চন্দ্র দে নামের এ ব্যক্তি। দিনের পর দিন মানবেতর ভাবে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে ফরিদপুরের সদরপুরের চাররশি গ্রামের শারিরিক প্রতিবন্ধী স্বপন কুমার ঘোষ ও তার বোন মঞ্জুরানী ঘোষ।
স্থানীয়দের কাছ থেকে চেয়ে চিন্তে কোন রকমে দিন চলে যাচ্ছে তাদের। দু ভাই-বোন রোগাক্রান্ত হলেও চিকিৎসার কোন টাকা নেই তাদের। এ নিয়ে প্রতিবন্ধী স্বপন কুমার ঘোষ সোমবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার আর্জির কথা জানান। স্বপন কুমার ঘোষ বলেন, আমি ও আমার বোন নিজেদের জমিতে বসবাস করে আসছি। আমার বাবা-মা কেউই বেঁচে নেই। আমি ও আমার বোন বিয়ে করিনি। আমরা খুবই অসহায়। আমার ২৫ শতাংশ জমি ছিল। আমি শারিরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় কোন কাজ করতে পারিনা। আমার বোনেরও অনেক বয়স। আমাদের দেখাশোনার জন্য কেউ ছিলনা। আমাদের এক দুর সম্পকীয় ভাতিজা নিতাই চন্দ্র দে আমাকে ও বোনকে দেখাশোনা ও ভরন পোষনের দায়িত্ব নেবার কথা জানায়। সেমতে তাকে আমার নামে থাকা ২৫ শতাংশ জমি তাকে লিখে দেই বিগত ২০১৮ সালে। জমি লিখে দেবার পর নিতাই আমাদের কয়েক বছর দেখাশোনা ও ভরন পোষন দেয়। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে সে আমাদের কোন খোঁজ খবর নেয়না। আমরা ভরন পোষনের জন্য টাকা চাইলে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। ভরন পোষন না পেয়ে আমরা এখন মানবেতরভাবে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছি।
বর্তমানে স্থানীয়দের কাছ থেকে চেয়ে চিন্তে খেতে হচ্ছে আমাদের। কোনদিন না খেয়েও থাকতে হচ্ছে। বর্তমানে নিতাইকে দেওয়া জমি সে বিক্রি করে দেবে বলে জেনেছি। আমরা এখন কোথায় যাবো, কি খাবো, কিভাবে বেঁচে থাকবো। আপনারা কাছে অনুরোধ আমাদের বাঁচান। স্বপন কুমারের বোন মঞ্জুরানী কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, আমাদের যে টুকু সম্পত্তি ছিল তার সবটুকুই দান করে দেয়া হয়েছে নিতাইকে। সে আমাদের দেখাশোনা করার কথা। কিন্তু সে এখন আমাদের দেখছেনা। আমার বয়স হয়েছে। কোন কাজ করতে পারিনা। আমার ভাই প্রতিবন্ধী সেও কোন কাজ করতে পারেনা। এখন আমাদের ভাই বোনের না খেয়েই মরতে হবে।

%d